ওমানের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারি অনুসরণ করে দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধ আনার জন্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। বিশেষ করে দেশের পরিষেবাগুলি আরও সহজ করা, স্টোরগুলিতে ছাড় ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তোলা যাতে ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয়। ফলে এই খারাপ অবস্থাও দেশের অর্থনীতি গতিশীল থাকবে।
দেশের তানফিদ শ্রম ল্যাবের প্রধান শাহ্বর আল বালুশি বলেন: “এখানে জোর দেওয়া হচ্ছে স্থানীয়ভাবে ক্রয় শক্তি বাড়ানো ও দক্ষতা তৈরির ওপর। যাতে ব্যবসাগুলি লাভজনক হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয়ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে চান এমন ব্যবসায়ীদের জন্য আরও নমনীয়তা থাকা উচিত। “ওমান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের অর্থনৈতিক গবেষণার প্রধান আহমেদ আল হুতি বলেন, ”যে গ্রাহকরা তাদের ব্যবসা আবার ফিরিয়ে আনবেন তা নিশ্চিত করার জন্য এখন স্টোরগুলির প্রয়োজন। আমি মনে করি দোকানদারদের বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি নতুন বিপণন পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত।”
তিনি আরো বলেন, “এই মুহূর্তে, অনেক পণ্য রয়েছে যা তিন, চার বা পাঁচ মাস ধরে দোকানে পড়ে আছে। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দোকানদাররা সেগুলি বিক্রি করতে পারছে না। গ্রাহকরাও জানেন যে এই পণ্যগুলি কিছুটা পুরানো, তাই দোকানদাররা যদি তাদের কাছে পুরো মূল্যে বিক্রি করেন তবে ক্রেতা এই পণ্য কিনতে আগ্রহী হবে। এছাড়াও ক্রেতারা যদি পণ্যগুলি ছাড় পায় তাহলে তারা এগুলো কিনে ফেলবে। আমি মনে করি যে দোকানিদের এক ধরণের কৌশল থাকা উচিত। যাতে করে ক্রেতারা তাদের দোকানে জিনিসপত্র কিনতে উৎসাহিত হয়।”
আল হুতি আরো বলেন,দেশের দোকানগুলির সৃজনশীল হওয়ার ও গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়ার সময় এসেছে। যাতে তারা দ্রুত নিজেদের ব্যবসা আবার শুরু করতে পারেন। আবার ব্যবসা লাভজনকও হওয়ার দিকে থাকে। তিনি বলেন, “যখন এই ধরণের স্কিম তৈরি করার কথা আসে তখন সরকার সাহায্য করার মতো অনেক কিছুই করতে পারে না, কারণ এটি দোকানদার ও গ্রাহকের মধ্যে রয়েছে, তবে সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন সহায়তা কমাতে করতে পারে তেমন সাহায্য করতে পারে দোকানদারদের সহায়তা করার জন্য ভাড়া বা ফি।
আরও পড়ুনঃ ওমানে এক রিয়ালে ৪০ কেজি মাছ!
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরামর্শদাতা ও ওমানের উপদেষ্টা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বিজনেস হাউজের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আঞ্চন সি কে বলেন “কোম্পানি সমূহকে তাদের কর্মচারীদের ধরে রাখতে হবে। একই সাথে দেশের স্থানীয় অর্থনীতিকেও গতিশীল রাখতে হবে। তাহলে অতিদ্রুত মহামারিতেও দেশের অর্থনীতি সচল থাকবে।