বৃহস্পতিবার মালদ্বীপ থেকে ৪০০ বাংলাদেশি ফিরবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, মালদ্বীপে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। তাদেরকে পর্যায়ক্রমে আনা হবে।
করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সমস্যায় থাকা প্রবাসী শ্রমিকরা যারা স্বইচ্ছায় দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন সেসব শ্রমিকদেরকে পর্যায়ক্রমে দেশে ফেরত নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যে পনেরোশো শ্রমিক দেশে ফেরত আসার জন্য স্বেচ্ছায় নিবন্ধন করেছে।
বুধবার (৬ মে ) অনলাইনে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ২৮ হাজার ৮৪৯ জন প্রবাসী দেশে আসতে পারেন । এদের মধ্যে থেকে প্রথম পর্যায়ে ৪০০ জন প্রবাসী শ্রমিককে মালদ্বীপ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়েত ক্যাম্পে অবস্থান করা প্রবাসীদের বিষয়ে বলেন, তাদের খাবার সমস্যা সমাধানের জন্য দেশটিতে বাংলাদেশ মিশনে কথা বলেছেন। তিনি জানান, কুয়েত সরকার যখনই ফ্লাইট এর ব্যবস্থা করতে পারবে, তখনই বাংলাদেশি কর্মীদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় একসাথে বেশি প্রবাসীকে আনা সম্ভব হচ্ছে না। যারা এখন দেশে ফিরতে চাচ্ছেন তারা যদি করোনা ভাইরাসমুক্ত সার্টিফিকেট সাথে আনতে পারেন, তাহলে তাদেরকে সরাসরি বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। নয়তো প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘মধ্যপ্রাচ্য থেকে শিগগিরই ২৮ হাজার ফেরত আসবে’
জানা যায়, করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মালদ্বীপের বসবাস করা বাংলাদেশের প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী শ্রমিক চরম দুর্ভোগে পড়েন। মালদ্বীপের লকডাউনের কারণে অফিস-আদালত শিল্প-কারখানা হোটেল-রেস্টুরেন্ট সবকিছুই বন্ধ থাকায় প্রবাসী শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ে, ফলে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা খাদ্যের সংকটসহ নানা সমস্যায় দিন যাপন করছেন। এমন কি মালদ্বীপে থাকা অবৈধ প্রবাসী শ্রমিকদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মালদ্বীপ সরকার বাংলাদেশ সরকারকে নানাভাবে অলিখিত চাপ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ সরকার থেকে ওইসব প্রবাসীদের জন্য খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন প্রয়োজনের জিনিস পাঠানো হয়।