ওমানে মহামারী করোনার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। দেশটিতে গত দুইদিনে আক্রান্তের পরিমাণ কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের হার মাত্র ৫১ জন। যাদের মধ্যে ১৪ জন প্রবাসী এবং ৩৭ জন ওমানি নাগরিক। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০৪৯ জন। সেইসাথে মৃত্যুর সংখ্যা ১০জন। সুত্রঃ ওমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চলতি মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে করোনার ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে এমন আশঙ্কা করা হলেও দেশটির কঠোর পদক্ষেপের কারণে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশটির সুপ্রিম কমিটি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা ওমান ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত বেশ সফল অবস্থানে রয়েছে সুলতানাত অব ওমান। ইতিমধ্যেই ওমানে সীমিত আকারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার আহ্বান করেছে ওমান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ওসিসিআই)। কোভিড -১৯ চলাকালীন সময়ে দেশটির সরকারের কাছে এই আহ্বান জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার ওসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান কায়স বিন মোহাম্মদ আল ইউসুফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘দীর্ঘদিন বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত থাকলে একটি দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমে আসতে পারে। এছাড়াও ওমানে দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার কারণে অবশ্যই অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।” তিনি আরও বলেন, “দেশটির বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই সরকারের জারি করা পেশাগত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ ওমানে শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে
ওমানের অর্থনৈতিক খাতে সরবরাহের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসছে দেশটির নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন ও সংশ্লিষ্ট খাত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ওসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান কায়স বিন মোহাম্মদ আল ইউসুফ।
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে প্রায় ১ মাসের বেশি সময় ধরে ওমানে চলছে লকডাউন। এই লকডাউনে বন্ধ রয়েছে দেশটির সকল সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রতি লকডাউন কিছুটা শিথিল করে দেশের সকল নোটারি বিভাগের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির আইন মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২৬-এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই মাস থেকেই দেশের সকল নোটারি বিভাগের কাজ শুরু হবে। যদিও কোভিড-১৯ দেশের বর্তমান অবস্থা খুব একটা ভালো পর্যায়ে নেই। কিন্তু দেশটির নোটারি বিভাগের কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বিধায় এই বিভাগের কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়ে রমজান মাসের সরকারী কাজের সময়কালে অনুযায়ী এই বিভাগের কাজ করা হবে।